ছবিতে: 'আং সান সুচি এবং জেনারেল মিন অং।মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর দেশটি নানা ফ্রন্টে গৃহযুদ্ধে পতিত হয়েছে। যটনার সূত্রপাত ঘটে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে 'জেনারেল মিন অং' এর সামরিক অভ্যুত্থানে তৎকালীন সরকারের পতন হয় এবং 'আং সান সুচি' মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ( প্রধানমন্ত্রী সমমান, এবং অভ্যুত্থান পূর্ববর্তী মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান)। সামরিক অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের বামপন্থী 'আং সান সুচি' এবং রাষ্ট্রপতী 'উইন মিল্টকে' আটক করা হয়। এই অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে বিভিন্ন অঞ্চলে সশস্ত্র বিপ্লব শুরু হয়। বর্তমানে মিয়ানমারের সবচেয়ে সফল বিপ্লব হয় মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আরাকান অঞ্চলে। ২০০৯ সালে গঠিত হয় 'ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান '(ULA) পরে এর সশস্ত্র বাহিনী তৈরি করা হয় আরাকান আর্মি (Arakan Army)নামে। তবে নাম আরাকান আর্মি হলেও এরা অনেক অপরাধের সাথে যুক্ত বলেই উল্লেখ অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ড্রাগ চোরাচালানের অনেক অভিযোগ আছে এই আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে। এবং অন্যদিকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অনেক আরাকান আর্মির দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতীর (Irrawaddy) সাথে এক লাইভ সাক্ষাৎকার আরাকান আর্মির কমান্ডার ইন চিফ তোয়ান মারত নাই কে তার বাহিনীর করা ড্রাগ চোরাচালানের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। কিন্তু চলমান বাংলাদেশ-ভারত টেনশনের মধ্যে আরাকান আর্মি নতুন সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কথা আরাকান আর্মি কে বললে তারা সুরে সুর মেলানো ব্যতীত আর কিছু করেনি। এইদিকে রোহিঙ্গারা দেশের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই দেশের প্রত্যেকটি মানুষের ইচ্ছা রোহিঙ্গারা অতি শিঘ্রই আরাকানে ফেরত যাক প্রয়োজনে আরাকান আর্মির উপর চাপ প্রয়োগ করে হলেও।