সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশে থেকে ফ্রিল্যান্সিং করতে কী কী লাগতে পারে? What does it take to do freelancing from Bangladesh?





























আমরা অনেকেই চাই যে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ার। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আমাদের কী কী প্রয়োজন তা আমরা অনেকেই জানি না। ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আমাদের যা যা প্রয়োজন তার সকল বিষয় নিয়ে বলা হবে আজকের এই প্রতিবেদনে।

১. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে কী কী প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগেই প্রয়োজন একটা জাতীয় পরিচয়পত্র। আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে নিন।

জাতীয় পরিচয়পত্র করার পর কী করতে হবে?

জাতীয় পরিচয়পত্র করার পর আপনি আপনার নামে একটি ব্যংক একাউন্ট খুলুন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে পেমেন্ট দেশে নিয়ে আসতে ব্যংক একাউন্টের কোনো বিকল্প নেই।

তারপর আপনার উচিৎ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম যেমন Upwork, Fiverr এগুলোতে নিজের প্রোফাইল তৈরি করা এবং একাউন্ট তৈরি করে সেটা ভেরিফাইড করা তারপর কাজের অফার করা।

ফ্রিল্যান্সিং করতে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক একাউন্ট থাকলেই হয় না। বাহিরের দেশে ব্যংক একাউন্ট থাকতে হয়। যে কারণে আপনার একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংক একাউন্ট প্রয়োজন। আপনি Payoneer, Wise, Skrill এই প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারেন আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা ক্লাইন্টের কাছ থেকে পেমেন্ট নিতে। এই সকল প্লাটফর্মে আপনি বিভিন্ন দেশের ব্যংক একাউন্ট পেয়ে যাবেন। যে একাউন্ট গুলো ব্যবহার করে আপনি ক্লাইন্টের কাছ থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

তাছাড়া আপনি যদি আন্তর্জাতিক ভাবে Dropshipping করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড যেটাতে ডলার ব্যবহার করা যাবে। 

বাংলাদেশ একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে ডলার ব্যবহার করতে হলে আপনার একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং
সেই পাসপোর্ট নিয়ে ব্যাংকে যেতে হবে এবং আপনার পাসপোর্টে ডলার  Endorsement করতে হবে।

আপনি আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে ১২০০০ ডলার পর্যন্ত Endorsement করতে পারেন এবং প্রত্যেক দিন ৩০০ ডলার পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন।

উপরে উল্লেখিত সমস্ত কিছু  যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

What is BO account in Stock Marker? শেয়ার বাজারে BO একাউন্ট কি?

শেয়ার বাজার সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী আর এ জন্য শেয়ার বাজারের BO একাউন্ট কী এ সম্পর্কে বলা হবে এই পোস্টে। BO Account এর ফুল ফর্ম হলো Beneficiary Owner Account। আপনার সাধারণ বা ব্যবসায়ীক কারণে অর্থ লেনদেন করতে যেমন ব্যংক একাউন্ট এর প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনি শেয়ার বাজারে শেয়ার লেনদেন বা ক্রয়-বিক্রয় করতে BO একাউন্টের দরকার হয়। আপনি যখন কোনো শেয়ার ক্রয় করেন সেই শেয়ার আপনার BO একাউন্টে জমা হয়। আবার যখন আপনি শেয়ার বিক্রয় করেন তখন আপনার বিক্রয় করা  শেয়ারের টাকা আপনার BO একাউন্টে জমা হয়।  একটি BO একাউন্ট খুলতে হলে প্রথমে একটি ব্যংক একাউন্ট থাকতে হয় । BO একাউন্ট এবং ব্যংক একাউন্ট একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং আপনার BO একাউন্টের সাথে সংযুক্ত থাকা ব্যংক একাউন্টে আপনার স্টকের Devidend পৌঁছে যায়।  এবং একই ভাবে BO একাউন্টে থাকা স্টক বিক্রি করে পাওয়া টাকা আপনার BO একাউন্ট থেকে ব্যংক একাউন্টে নিতে পারেন।

Taptap send কি? What is Taptap Send?

  Taptap send হলো একটি সার্ভিস যা আপনাকে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা আনতে সাহায্য করবে এ কারণে একে প্রবাসীদের App ও বলা হয় কারণ এই App টি তৈরি করা হয়েছে মূলত প্রবাসীদের বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর জন্য। Taptap send এর যাত্রা ২০১৮ সালে এটা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এশিয়া এবং আফ্রিকার মতো অঞ্চলগুলোতে টাকা পাঠানো উদ্দেশ্যে । আপনি যদি একজন প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে Taptap send ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি অনেক কম খরচে অনেক ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে। এবং এর খরচ অনেক কম হওয়ার পাশাপাশি অনেক অল্প সময়ে টাকা পাঠানো যায় Taptap send ব্যবহার করে।

How to check banglalink internet balance? বাংলালিংক সিমে কিভাবে ইন্টারনেট ব্যলেন্স চেক করে?

 বর্তমানে ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের কল্যাণে ইন্টারনেট এবং সিম ব্যালেন্স সহ যাবতীয় বিষয় মোবাইলে App এর মাধ্যমে চেক করতে পারেন। কিন্তু যারা ফিচার ফোন ব্যবহার করে থাকে তারা সাধারণত কোনো Apps ব্যবহার করতে পারে না। যে কারণে তাদের ফিচার ফোনে বাটন টাইপ করে সমস্ত কিছু চেক করতে হয়। আপনি বাংলালিংকের ইন্টারনেট থেকে করতে পারেন *5000*500* এই কোডটি ব্যবহার করে। এবং বাংলালিংক ব্যলেন্স চেক করতে পারেন*১২৪# কোড দিয়ে। বাংলালিংক সিমে নাম্বার চেক করতে পারেন*৫১১# দিয়ে। বাংলালিংক ইন্টারনেট প্যাকেজ চেক করতে*৫০০০# বাংলালিংক এসএমএস এর জন্য*১২১*১৫# বাংলালিংক মিনিট চেক করতে*১১০০# কোড ব্যবহার করতে পারেন। এ সমস্ত কোড ব্যবহার করে আপনি অফলাইনে বাংলালিংক সিমের যাবতীয় বিষয় জানতে পারেন।